বহুল আলোচিত রাজধানীর রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বো’মা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এই শফিকুল। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার মুফতি শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভৈরব এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। শফিকুলকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন র্যাব সদস্যরা।
২০০১ সালের পহেলা বৈশাখের দিন ভোরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বো’মা পুঁতে রাখা হয় এবং পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে তা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে একটি এবং ১০-১৫ মিনিট পর আরেকটি বো’মা বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থলে সাত ব্যক্তি প্রাণ হারান। পরে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। এতে ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় করা দুই মামলার মধ্যে হত্যা মামলার রায় হয় ২০১৪ সালের ২৩ জুন। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন আদালত।
কারাগারে থাকা অন্য নয়জন আসামি হলেন- মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলাল উদ্দিন, শাহাদাত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া। এ ছাড়া শীর্ষ জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সীর ফাঁসি কার্যকর হয় অপর এক মামলায়। ফলে এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।